ছাত্রদল নেতা মোঃ হাসান চৌধুরী বলেন আকুবদন্ডি ৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী কথিত সাংবাদিক মুখোশধারী সৈয়দ নজরুল, আওয়ামীলীগের ১৪ বছরের জোর জুলুমের প্রত্যক্ষ সহযোগী, পোপাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা জসিম চেয়ারম্যান এর সাথে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি, মাদকের ব্যাবসা, চাঁদাবাজি’সহ এমন কোন ঘৃণ্য অপকর্ম নেই সে করেনি।
বোয়ালখালী উপজেলা আকুবদণ্ডী ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোঃ নজরুল ইসলাম সাংবাদিক পরিচয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান। বিগত সরকারের আমলে বিএনপি জামায়াত নির্যাতনের মাস্টারমাইন্ড এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর নির্যাতনকারী নজরুল ইসলাম প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকতা নামে তার পকেট পূজা করার ব্যবসা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের সাথে মিছিল সহকারে অবস্থান নজরুলের
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর চট্টগ্রাম ০৮ আসনের সাবেক এমপি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এবং পোপাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা জসিম চেয়ারম্যান এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম। সেই সুবাদে সাংবাদিকতার পেশার নাম দিয়ে বিগত সরকারের আমলে অসংখ্য জামায়াত ও দলীয় কর্মীকে পুলিশী হয়রানীর মাধ্যমে চাঁদা আদায় করতেন নজরুল ইসলাম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে অবস্থান ও মিছিল করেন এবং তার পত্রিকা বোয়ালখালী সংবাদে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উসকানি মূলক নিউজ করে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের উৎসাহ ও সাহস জুগিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল এই সাংবাদিক। এছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়ে বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের সাংগাঠনিক সম্পাদক পদ হাতিয়ে বোয়ালখালী প্রেস ক্লাব সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী রাজা মিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় সাংবাদিক নজরুল
ছাত্রদল নেতা মোঃ হাসান চৌধুরী বলেন আকুবদন্ডি ৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী কথিত সাংবাদিক মুখোশধারী সৈয়দ নজরুল, আওয়ামীলীগের ১৪ বছরের জোর জুলুমের প্রত্যক্ষ সহযোগী, পোপাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা জসিম চেয়ারম্যান এর সাথে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি, মাদকের ব্যাবসা, চাঁদাবাজি’সহ এমন কোন ঘৃণ্য অপকর্ম নেই সে করেনি।
একজন আওয়ামী ক্যাডার কিসের ভিত্তিতে বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের সংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করে? সৈয়দ নজরুল জুলাই ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নেওয়া আওয়ামী ক্যাডার, সে কিভাবে কাদের সহযোগিতায় সরাসরি থানায় গিয়ে এখনো বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়রানিতে ইন্ধন দেয়? এই প্রশ্ন বোয়ালখালী প্রশাসন ও বোয়ালখালী প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে।
সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে সরকারের বিরুদ্ধে তার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞেসবাদ করা আর বোয়ালখালী প্রেস ক্লাব থেকে তার সদস্য পদ প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী ও বোয়ালখালী ছাত্রসমাজ।