বোয়ালখালী প্রতিনিধি:বোয়ালখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ফাহিমের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, কালুরঘাট সিএনজি স্টেশনে চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হামলার মতো অপরাধে জড়িত এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ফাহিম শুধু অসহায় দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেই ক্ষান্ত হননি, বরং তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মতো অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে বোয়ালখালী থানায়। এ সকল মামলার তথ্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরে ফাহিম কিছুদিন পলাতক থাকলেও বর্তমানে সে গোপনে বোয়ালখালীসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। অভিযোগ রয়েছে, সে বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড মোহরা এলাকায় তার মামা বিএনপি নেতা মনসুরের বাসায় আশ্রিত। এছাড়া মৌলভীবাজার ইউসেপ টেকনিক্যাল সেন্টারের সামনে এবং মরিয়ম ক্লাবের পাশে তাকে নিয়মিত আড্ডা দিতে দেখা যায়।
স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অভিযোগ করছেন, ফাহিম গোপনে বোয়ালখালীতে এসে সাংবাদিকসহ নিরীহ মানুষকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে, যাতে কেউ তার অপরাধ নিয়ে প্রতিবাদ বা গণমাধ্যমে প্রকাশ না করে।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
এলাকাবাসীর প্রশ্ন, প্রশাসনের চোখের সামনে এভাবে একজন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা কিভাবে বারবার এলাকায় প্রবেশ করে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিতে পারে? মামলা থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে জনমনে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর দাবি
বোয়ালখালীর সাধারণ জনগণ দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। তারা দাবি করেছে, শহিদুল ইসলাম ফাহিমকে দ্রুত গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা প্রদান করা হোক।