ডাকসু নির্বাচন, জিতেছে তারেক রহমান।।
– লায়ন হেলাল উদ্দীন
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে গত দুই তিন দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ অনেক অঙ্গনে আলোচনা সমালোচনা বহমান, হওয়াটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ও আশাব্যঞ্জক গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে,যার জন্য দীর্ঘ ১৭ বছরের এক ম্যারাথন রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম যার মূল নেতৃত্ব দিয়েছেন জনাব তারেক রহমান,
যার এই সংগ্রামের মূলমন্ত্র ছিল মানুষের মতামত এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করা এবং সংখ্যাধিক্যের মতকে সম্মান জানানো গ্রহন করা তাহলেই একমাত্র প্রতিষ্ঠিত হবে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্মার্থ।।যদি ও বিগত ১৭ বছর ধারাবাহিক ভাবে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্হায় ভূলুণ্ঠিত হয়েছে সকল মত প্রকাশের অধিকার এবং জাতীয় সংসদ থেকে গ্রামের ওয়ার্ড পর্যন্ত এবং সর্বস্তরের নির্বাচনী ব্যবস্হা,জনমত প্রকাশের ব্যবস্হা ধ্বংস করেছেন এই ফ্যাসিবাদী দেশবিরোধী গোষ্ঠী।। একটা বিষয় বিশেষ ভাবে লক্ষনীয় যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কালজয়ী সেই কন্ঠে ঘোষিত স্বাধীনতা বা যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে ভারত পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রই বিভিন্ন কূটকৌশল ঘটনা উপঘটনা নিয়ে বহু তৎপরতা ইতিহাসের অংশ হিসেবে আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট খুবই স্পষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশে একটা পক্ষ হিন্দুস্হানের দালালী করতে করতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকি মুখে পতিত করেছিল,আরেকটি পক্ষ ১৫ বছর গর্তে থেকে, মুখোশ পরে, গুপ্ত রূপে বিভিন্ন ভাবে পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশবিরোধী পরিকল্পনা নিয়ে ৭১ পূর্ব পাকিস্তানের স্বপ্নে মাতোয়ারা, তাহলে বাংলাদেশ পন্থী কে?জ্বি ইনিই তারেক রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডপন্ট জিয়াউর রহমানের সন্তান।। দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়,আমার দেশ বাংলাদেশ।।
এখন আসি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গত ৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে বি এন পির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল পরাজিত হয়েছে আমার বিবেচনায় এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয় আমি আগে থেকেই যখন থেকেই ডাকসু নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে ছাত্র শিবির প্যানেল দিয়েছে তখনই নিশ্চিত ছিলাম ছাত্রশিবির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্হির এবং নিশ্চিত করে এগুচ্ছে।। তার প্রধানতম কারন ছাত্র শিবির তথা জামাত বিগত ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন কর্মকান্ডে নিরব ছিল,বেছে নিয়েছিল গুপ্ত ফর্মুলা।।যার কারণে আসলে বিজয়ী প্যানেল দৃশ্যত কি ছাত্রলীগ নাকি শিবির এটা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া বড়ই মুশকিল। এটাই জামাতি রাজনীতির স্ট্র্যাটেজি,এবং জামাতের মত সংগঠন সারা বিশ্বব্যাপী রাজনীতি করে সকলের স্ট্র্যাটেজি অনেকটা একেই, জ্বি এই প্রক্রিয়ায় জামাত শিবির আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগকে ঘিলে খেয়েছে, আওয়ামী লীগ এর শোচনীয় পরাজয় ম্লান হওয়ার পিছনে এবং আওয়ামী লীগকে আদর্শিক চারিত্রিক, এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার পথে পরিচালিত করার জন্য কতটুকু গুপ্ত কর্ম জামাত করেছে তার সর্বশেষ জ্বলন্ত প্রমান এই ডাকসু নির্বাচন, কারন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা বর্তমান ছাত্র আছে তার ৯০ শতাংশ বিগত ১৫ বছরে ভর্তি হওয়া আমরা জানি বিগত বছর গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগ কত ধরনের অপকর্ম ঘটিয়েছে সচেতন মহল সবাই জানে তাহলে এরা কারা ছিল? ছাত্রলীগ নাকি শিবির? আসলেই এখনতো বুঝা বড় মুশকিল কে ছাত্রলীগ কে শিবির কে জামাত কে আওয়ামী। পর্যালোচনার দায়িত্ব আপনাদের।।
তাহলে স্বাধীনতার ৫৪ বছরে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের ডাকসুতে বিজয় কার দায়? নিশ্চয়ই শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের।।
ছাত্রদল ১৭ বছর পথে পথে, ক্যাম্পাস,হল কোন স্হানেই বিছরণ করার সুযোগ ছিলনা, ছিল নির্যাতন নিপিড়ন জেল জুলুম মামলা হামলা দৌড়ের উপর, সেই ছাত্রদল ১৭ বছর পরে ক্যাম্পাসে অবস্থান, এবং এই একবছরে কর্মকান্ড সত্যিসত্যিই আশাব্যঞ্জক ও আলোর দিশারি, ৫ ই আগষ্ট পরবর্তী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসকল সৃজনশীল কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে তাতে তারেক রহমানের পরিবর্তিত বাংলাদেশ এবং আগামীর সৃজনশীল আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানের সারথি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে আমি মনে করি। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল এবং প্রচারনা, আচরণ, ব্যবহার পুরো জাতিকে বিমোহিত করেছে, আশা জাগিয়েছে ছাত্রদল নিয়ে আগামী বাংলাদেশ নিয়ে।। ১৭ বছরের এক গুপ্ত কৌশলের বহিঃপ্রকাশে মাত্র ১ বছরের ছাত্রদলের মুক্ত পরিবেশের কার্যক্রম যে প্রতিরোধ এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তাহা ছাত্রদলের জন্য এক বিরাট অর্জন।।কারন বাস্তবতার নিরিখেই ছাত্রদল সঠিক সময়ে প্যানেল ঘোষনা সম্ভব হয় নাই। আমি আশাবাদী ছাত্রদল অচিরেই তারেক রহমানের নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে রচিত করবে এক স্বর্নালী যুগের।।
ইতিমধ্যে তাহা প্রতিফলিত হয়েছে, ডাকসুতে ১৭ বছরের পরিকল্পিত পদযাত্রায় ছাত্রশিবির,ছাত্রলীগ,শিক্ষক সবাই মিলে একাকার ব্যাপক অনিয়ম নিয়ে আলোচনা সমালোচনা বিদ্যমান,বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতির প্রতিফলনে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ডাকসু নির্বাচন প্রত্যাখানের পথে হাটতে গেলে বন্ধ করেছেন তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বাস্তবতার আলোকে পর্যালোচনা করে ছাত্রদলের সৃজনশীল কর্মকৌশল চলমান রেখে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করা,নিশ্চিত এক বছরের পথচলায় যতটুকু এগিয়েছে ধারা চলমান থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্টান কেন্দ্রিক রাজনীতিতে ছাত্রদল এক ঐতিহাসিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
বর্তমান চলমান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচনকে বিজয়ই একমাত্র লক্ষ্য না ভেবে, ভিত নির্মানের উপলক্ষ্য হিসেবে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে নিজেদের ভিত তৈরি করা তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে ছাত্রদল ষ্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সাথে সাথে খুবই পজিটিভলি নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা সংশোধিত হওয়া, চিন্তা বা হতাশার কোন কারণ নেই কেননা এক বছরের অর্জন হিসেবে এটা আমি বিজয় হিসেবেই চিহ্নিত করলাম।।কারণ ১৭ বছর ক্যাম্পাস বা হল বিমুখ একটা সংগঠন কোনভাবেই ১৭ বছরের সংগঠিত শক্তির সাথে বিজয় অর্জন সুনিশ্চিত করবে এটা ভাবা বড় বোকামী।।
এখানেই তারেক রহমানের সফলতা ছাত্রদলের স্বর্নালী যুগ সূচনার লক্ষ্য নিয়ে একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংসদ মোকাবিলার নির্দেশনা এবং নিজেদের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করা এবং নিজদের কর্মকৌশল নির্ধারন করা,আগামীর করনীয় সম্পর্কে ধারনা, আগামীর যে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান তার জন্য নিজেদের প্রস্তুতি করার লক্ষ্য এটা একটা যুগান্তকারী সাহসী সিদ্ধান্ত যার স্বর্নালী ফলাফল বি এন পির জন্য অপেক্ষায় ইনশাআল্লাহ।।
প্রকারন্তরে একটি গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে জাতিকে সহায়তা করবে।।
এখন একটা ভিন্ন আলোচনা ডাকসু নিয়ে একটা বিশেষ গোষ্ঠী সুপরিকল্পিত ভাবে প্রোপাগান্ডা,বিভ্রান্তিকর বক্তব্য মন্তব্য নিয়ে সয়লাব এটা তাদের পলিটিকাল স্ট্র্যাটেজির একটা অংশ। কিন্তু যেটা দেখলাম বি এন পি তথা এই ঘরনার কতেক লোকজন তাদের পাতানো ফাঁদে পরে আবার কিছু তাদের এজেন্ট হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘেউ ঘেউ শুরু করে দিল,হায় হায় শেষ শেষ সবশেষ, এটা কিন্তু বট বাহিনীর কর্মকৌশলের অংশ। কিন্তু কিছু আবাল বাম ডান, বাস্তবতা বিবেচনা না করে তাদের সাথে শুর মিলাল।।আসলে প্রশ্ন জাগে বি এন পি নামধারী এসকল আবালরা আসলে কারা?
কারন আমরাতো দেখেছি ৫ ই আগষ্ট পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একদম গ্রাম পর্যন্ত ডাকসাইটে আওয়ামী লীগ থেকে ছাত্রলীগ নেতা কিভাবে জামায়াত শিবির বনে গেছে রাতারাতি, এরা জামাত এরা আওয়ামী লীগ, যারা জামাত তারা আওয়ামী লীগ।। এর বাইরে কিন্তু বি এন পি ও নয়,বি এন পি নামধারী অনেক নেতা কর্মী কিন্তু জামাতের নেটওয়ার্ক ভূক্ত,এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল, এটা তাদের বিনিয়োগ কিছু কুলাঙ্গার বি এন পি সেজে বিএনপির লেভেল লাগিয়ে বি এন পির বিরুদ্ধে প্রচারনা চালিয়ে একটা বিভ্রান্ত ছড়ানোর অপচেষ্টা লক্ষনীয়।
একটা দলের সদস্য হতে একটা নিয়ম আছে দল এবং নেতার প্রতি আনুগত্য হওয়া,যেটাকে চেইন অব কমান্ড বলে।এটা অনুসরণ না করে যারা ভিন্ন ভাবে ভিন্ন রুপে অন্যগোষ্টীর এজেন্ট হিসেবে দলের মধ্যে প্রোপাগান্ডা,অপপ্রচার, বিভেদ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করতেছে তারা নিশ্চিত ভাবে জামাতী প্রোডাক্ট ও এজেন্ট এ ব্যাপারে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আরো কঠিন সতর্ক থাকতে হবে। এদের চিহ্নিত করতে হবে।।
মনে রাখতে হবে ১৭ বছরের একদলীয় স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের সাজানো শাসন তন্ত্র, রাষ্ট্র যন্ত্র হঠাৎ করেই পরিবর্তন হয়ে যাবে, করে ফেলবেন ভাবাটা সম্পূর্ণ অপরিপক্ক চিন্তা।। এ ব্যবস্হা পরিবর্তনের একমাত্র সমাধান ও পথ একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচন যার মাধ্যমে সারা দেশের জনগোষ্ঠীকে এই প্রক্রয়ায় সম্পৃক্ত করা।সময় দিন,ধৈর্য্য ধরুন নেতার উপর আস্হা রাখুন তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুসরণ করুন ইনশাআল্লাহ সব ষড়যন্ত্র ধ্বংস হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে, বাংলাদেশ মুক্ত হবে।।
সর্বশেষ যে কথাটি বলতে চাই ডাকসু জাকসু রাকসু চাকসু কোনটাই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্হার মূল উৎপাটনের হাতিয়ার নয়,কিন্তু তারেক রহমান জাতির সামনে এবং দলের নেতা কর্মীদের সামনে প্রমান দিয়ে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন,১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী বীজ কতটুকু শিকড় স্হাপন করেছেন সাথে বাংলাদেশ বিরোধী গোষ্ঠীর গুপ্ত ফর্মুলা কতটুকু গড়িয়েছে।। যেটা বারবার বক্তব্যে উপস্থাপন করেছেন এখন পরিষ্কার দৃশ্যমান,সুতরাং তাদের প্রতিহত করতে এবং ভবিষ্যৎ নির্মানে সচেতন কর্মপন্হা নির্ধারনে সকলে সতর্ক হবেন।। সুতরাং ডাকসু কে হেরেছে কে জিতেছে এটার বড় তৃপ্তি তারেক রহমান জিতেছেন।