ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নের সময়ে জামায়াত-শিবির নিজেদেরকে বিএনপির সহযোগী পরিচয় দিয়ে প্রচার চালাতো। সেই সময়ে আমি চাকরির সুবাদে ঢাকার গাজীপুরে ছিলাম। সেখানেই প্রত্যক্ষ করেছি তাদের কার্যক্রমের একটি ভিন্ন রূপ।
আমার পাশের বাসায় থাকতেন দিনাজপুরের একজন জামায়াত কর্মী, যিনি গাজীপুরের একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। তিনি প্রায়ই রাতে আমার সাথে এসে গল্প করতেন। ভদ্রতা, সুন্দর ব্যবহার এবং গুছানো কথাবার্তার মাধ্যমে দ্রুতই আমার আস্থা অর্জন করেছিলেন। আমি যখন জানালাম আমি বিএনপিকে সমর্থন করি, তখন তিনিও নিজেকে বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দিলেন।
কিছুদিন পর থেকে তিনি আমাকে কিছু ইসলামী ছাত্রশিবিরের বই দিতে শুরু করেন। বলতেন— “আপনি অফিস শেষে একা সময় কাটান, মাঝে মাঝে বইগুলো পড়ে দেখবেন।” আমি বইগুলো পড়ে শেষ করলে তিনি আবার নিয়ে যেতেন এবং নতুন বই দিতেন।
একদিন সরাসরি প্রশ্ন করলাম— “আপনি আসলে কি জামায়াত করেন?” তখন তিনি আমাকে বোঝাতে শুরু করলেন যে জামায়াত ও বিএনপি আলাদা কিছু নয়, আমাদের সংগ্রাম একই। এমনকি মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কর্মশালায়ও আমাকে আমন্ত্রণ জানাতেন। অর্থাৎ, তিনি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ধীরে ধীরে আমাকে জামায়াতমুখী করার চেষ্টা চালাতেন।
এখানেই শেষ নয়। পরে জেনেছি, শিবিরের অনেক কর্মী নিজেদেরকে ছাত্রলীগ বা বিএনপির কর্মী পরিচয়ে ক্যাম্পাস কিংবা এলাকায় কাজ চালাতো। জেল-নির্যাতনের ভয়ে নিজেদের পরিচয় গোপন করে, ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে সংগঠনের কার্যক্রম চালানোই তাদের কৌশল ছিল।
কিন্তু আমার প্রশ্ন রয়ে গেছে—
👉 যে সংগঠন টিকে থাকার জন্য ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে, মিথ্যার আশ্রয় নেয়, তারা কি সত্যিই ইসলামিক দল হতে পারে?